Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রকল্প সম্পর্কে

পটভূমি

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে তিন স্তরের স্থানীয় সরকার পদ্ধতি: জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন। বাংলাদেশের সংবিধানের ওপর ভিত্তি করে কেন্দ্রীয় সরকার জনগণের কাছে উন্নততর সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানসমূহকে (এলজিআই) বিকেন্দ্রীকরণের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১৬/১৭-২০/২১) উপজেলা পরিচালন পদ্ধতির উন্নয়নের জন্য স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করার অন্যতম অগ্রাধিকারের তালিকায় রেখেছে: জনগণের কাছাকাছি সরকারের সেবাকে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সরকার গুরুত্ব দিয়েছে। স্থানীয় জনগণের পছন্দকে পরিকল্পনা পদ্ধতিতে সুযোগ নিশ্চিত করছে। এরপরেও এলজিআই’র বিকেন্দ্রীকরণ কাজটি এখনও সহজে এবং যথাযথভাবে এগোতে পারেনি।

ইউনিয়ন পরিষদ হলো স্থানীয় সরকারের সর্বনি¤œ স্তর। ইউনিয়ন পরিষদে মাত্র একজন সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন এবং তিনি বিভিন্ন রকম দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিয়ন পরিষদে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ না থাকায় সকল স্থানীয় প্রয়োজনকে মেটানো সম্ভব হয় না। 

উপজেলা পরিষদ হচ্ছে স্থানীয় সরকারের মধ্যম পর্যায়ের স্তর। পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন কর্মকা-ে উপজেলার মানানসই আকারের কারণে এটি স্থানীয় সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উপজেলার প্রাতিষ্ঠানিক গঠন অনেকখানি মজবুত হয়েছে। কিছু কিছু অর্জন এখন উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে; যেমন, ১৯৯৮ সালে উপজেলা পরিষদ আইন প্রণীত হয়েছে, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বৃদ্ধি পেয়েছে, ২০১১ সালে স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন সংশোধিত হয়ে উপজেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরগুলো (এনবিডি) স্থানান্তরিত হয়ে উপজেলা পরিষদের আওতায় আনা হয়েছে। 

ইতোমধ্যে উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোয় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলা পরিষদের মধ্যকার দুর্বল সম্পর্ক, বিশেষ করে, উন্নয়ন সমন্বয়ের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হচ্ছে। সীমিত অর্থ বরাদ্দের মাঝেও স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়নকে আরো কার্যকর করে তুলতে এই দুই পর্যায়ের পরিষদের মাঝে সুষ্ঠু সমন্বয় থাকা অত্যাবশ্যক।

ইউনিয়ন এবং উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় সরকারের উপরোল্লিখিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটি ব্যাপক ও সমন্বিত প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের কাছে পৌঁছা এবং কার্যকর সেবা প্রদানের মূল কেন্দ্র হিসেবে উপজেলা পর্যায়ে এই প্রচেষ্টা শুরু করা হয়েছে।  


প্রকল্প শিরোনাম, অর্থসহায়তা প্রদানকারী মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়ন সংস্থা 

প্রকল্প শিরোনাম

:

উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি)

অর্থসহায়তা প্রদানকারী মন্ত্রণালয়

:

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়

বাস্তবায়ন সংস্থা

:

স্থানীয় সরকার বিভাগ


প্রকল্পের উদ্দেশ্য

প্রকল্পের সার্বিক উদ্দেশ্য হচ্ছে,সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের জন্য অতিরিক্ত উন্নয়ন বরাদ্দ এবং ধারাবাহিক দক্ষতাবৃদ্ধিমূলক কর্মকা-ের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে উপজেলা পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে জনগণকে অধিকতর এবং উন্নত সেবা প্রদান করা।

উপরোল্লিখিত সার্বিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য ইউজিডিপি নিম্নোক্ত নির্দিষ্ট বিশেষ উদ্দেশ্যাবলি নির্ধারণ করা হয়েছে :

ক) কার্যকর সরকারি সেবা প্রদান এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইউজেডপি’কে কর্মদক্ষতাভিত্তিক বরাদ্দ (পিবিএ) প্রদান করা।

খ) উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়, উভয় স্থানেই এলজিআই এবং সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরসমূহের (এনবিডি) মাঝে পারস্পরিক জবাবদিহিতা উন্নয়ন এবং কার্যকর সমন্বয় গড়ে তুলতে সাহায্য করা।

গ) ইউনিয়ন উন্নয়ন এবং সমন্বয় পরিষদের (ইউডিসিসি) মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের কাছে এলজিআই এবং এনবিডি’র স্বচ্ছতা বৃদ্ধিসহ সুশাসনের অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

ঘ) এলজিআই এবং এনবিডি, উভয় পর্যায়েই সরকারি কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতা কৌশল শক্তিশালী করা।

ঙ) ধারাবাহিক পরিচালন পদ্ধতি এবং আর্থিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথার্থ বিকেন্দ্রীকরণ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সহায়তা করা।


সুবিধাভোগী শ্রেণি

উপকারিতা, সুবিধাভোগী শ্রেণি এবং অন্তর্ভুক্ত এলাকার পরিধি 

ক. উপকারিতা: 

স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, নানাবিধ সেবাপ্রাপ্তি, স্থানীয় সরকারের অগ্রগতি, মানবসম্পদ দক্ষতার উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা, আয়ের সুযোগ সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের বিবেচনায় প্রকল্পটি নিয়ে ব্যাপক আশাবাদ সৃষ্টি হয়েছে।

খ. সুবিধাভোগী শ্রেণি: 

প্রাথমিক সুবিধাভোগী শ্রেণি: উপজেলা পরিষদ (চেয়ারপারসন, ভাইস-চেয়ারপারসন, পরিষদের সদস্য, ইউএনও এবং এনবিডি)

চূড়ান্ত সুবিধাভোগী শ্রেণি: উপজেলার সব বাসিন্দা।

গ. অন্তর্ভুক্ত এলাকার পরিধি: 

ইউজিডিপি সব উপজেলা পরিষদকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ইউজিডিপি ক্রমান্বয়ে এর কর্মএলাকা বৃদ্ধি করে প্রকল্পের সময়সীমার ভেতর ১০০ উপজেলা থেকে সব উপজেলায় কার্যক্রম বৃদ্ধি করবে।


প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা

শুরুর সময়

:

ডিসেম্বর ১, ২০১৫

শেষ হওয়ার সময়

:

জুন ৩০, ২০২১ (বর্ধিত মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৩)